بسم الله الرحمن الرحيم
الأذكار ودعاء الصلاة
ছালাতের যিকির-আযকার ও দু’আ সমূহঃ
MÖš’bvq t Avey gvn&dzR gyd&wZ Avãym mvjvg
0১. তাকবীরে তাহরীমা
:
اَللَّهُ أَكْبَرُ
اللَّهُ أَكْبَرُ (উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার) অর্থ : আল্লাহ সবচেয়ে বড়।
০২. সালাত শুরুর দু’আ
اللَّهُمَّ بَاعِدْ
بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ،
اللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ
الدَّنَسِ، اللَّهُمَّ اغْسِلْني مِنْ خَطَايَايَ، بِالثَّلْجِ وَالْماءِ
وَالْبَرَدِ
D”PviY t (আল্লা-হুম্মা বা-‘ইদ বাইনী ওয়া বাইনা খাত্বা-ইয়া-ইয়া
কামা বা-‘আদতা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব। আল্লা-হুম্মা নাক্বক্বিনী মিন খাত্বা-ইয়া-ইয়া
কামা ইয়ুনাক্কাস্ ছাওবুল আবইয়াদু মিনাদ দানাসি। আল্লা-হুম্মাগসিলনী মিন খাত্বা-ইয়া-ইয়া
বিস্সালজি ওয়াল মা-’ই ওয়াল বারাদ)।
kãv_© t أَللَّهُمَّ - ‡n Avjøvn! بَاعِدْ – Zzwg `~iZ¡ m„wó Ki, بَيْنِي - Avgvi gv‡S, خَطَايَايَ وَبَيْنَ - Ges Avgvi cvmg~‡ni gv‡S, كَمَا بَاعَدْتَ- †hfv‡e Zzwg `~iZ¡ m©wó K‡iQ,
بَيْنَ الْمَشْرِقِ - c~e©, وَالْمَغْرِبِ، - cwð‡gi gv‡S, أَللَّهُمَّ - ‡n Avjøvn! Zzwg, نَقِّنِي – Avgv‡K gy³ K‡i `vI ev
cwi¯‹vi K‡i `vI, مِنْ خَطَايَايَ- Avgvi ¸Yvn mg~n n‡Z, كَمَا- †hfv‡e,
يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ – mv`v Kvco cwi¯‹vi nq, مِنَ الدَّنَسِ، - gqjv n‡Z, أَللَّهُمَّ - ‡n Avjøvn! اغْسِلْني - Avgv‡K †aŠZ Ki مِنْ خَطَايَايَ، -Avgvi cvcivwk n‡Z, بِالثَّلْجِ- eid Øviv, وَالْماءِ- cvwb
Øviv, وَالْبَرَدِ- kxZj wkwki Øviv|
A_© t “হে আল্লাহ! আপনি আমার এবং আমার গুনাহসমূহের
মধ্যে এমন দূরত্ব সৃষ্টি করুন যেরূপ দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে।
হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার গুনাহসমূহ থেকে এমন পরিষ্কার করে দিন, যেমন
সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার পাপসমূহ থেকে বরফ,
পানি ও মেঘের শিলাখণ্ড দ্বারা ধৌত করে দিন।”[1]
سُبْحانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ،
وَتَبارَكَ اسْمُكَ، وَتَعَالَى جَدُّكَ، وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ
D”PviY t (সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবা-রাকাসমুকা
ওয়া তা‘আ-লা জাদ্দুকা ওয়া লা- ইলা-হা গাইরুকা)।
kãv_© t سُبْحانَكَ - Avcbvi cweÎZv †NvlYv KiwQ, اللَّهُمَّ - ‡n Avjøvn! وَبِحَمْدِكَ، - Ges Avcbvi Rb¨ mKj cÖksmv,
وَتَبارَكَ – Ges gwngvwš^Z, اسْمُكَ،- Avcbvi bvg, وَتَعَالَى – Ges D‡”P, جَدُّكَ،
- Avcbvi m¤§vb, وَلاَ إِلَهَ – Avi †bB †Kvb Bjvn&, غَيْرُكَ
– Avcbwb Qvov|
A_© t “হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা
ও মহিমা ঘোষণা করছি, আপনার নাম বড়ই বরকতময়, আপনার প্রতিপত্তি
অতি উচ্চ। আর আপনি ব্যতীত অন্য কোনো হক্ব ইলাহ্ নেই।”[2]
০৩. রুকূ‘র দু’আ
سُبْحانَ
رَبِّيَ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ : (সুবহা-না রব্বিয়াল
‘আযীম)।
শব্দার্থ : سُبْحانَ - পবিত্রতা ঘোষণা করছি,
رَبِّيَ - আমার প্রতিপালকের, الْعَظِيمِ - যিনি মহান।
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ
اغْفِرْ لِي
উচ্চারণ : (সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়াবিহামদিকা,
আল্লা-হুম্মাগফির লী)।
শব্দার্থ : سُبْحَانَكَ – আপনার পবিত্রতা
ও মহিমা ঘোষণ করছি, اللَّهُمَّ- হে
আল্লাহ !, رَبَّنَا- আমাদের
প্রতিপালক, وَبِحَمْدِكَ،- এবং
আপনার প্রশংসা করছি, اللَّهُمَّ- হে
আল্লাহ !, اغْفِرْ لِي- আমাকে
ক্ষমা করে দিন।
অর্থ
: “হে আল্লাহ! আমাদের রব্ব! আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা
করছি আপনার প্রশংসাসহ। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন।”[4]
اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ
أَسْلَمْتُ، خَشَعَ لَكَ سَمْعِي، وَبَصَرِي، وَمُخِّي، وَعَــــظْمِي، وَعَصَبِي،
[وَمَا استَقَلَّتْ بِهِ قَدَمِي[
উচ্চারণ : (আল্লা-হুম্মা লাকা রাকা‘তু, ওয়াবিকা আ-মানতু ওয়া লাকা আস্লামতু। খাশা‘আ
লাকা সাম‘ঈ ওয়া বাসারী ওয়া মুখ্খী ওয়া ‘আযমী
ওয়া ‘আসাবী [ওয়ামাস্তাক্বাল্লাত বিহি কাদামী])।
শব্দার্থ : اللَّهُمَّ - হে আল্লাহ!, لَكَ رَكَعْتُ،- আমি আপনার জন্যেই রুকু করেছি,
وَبِكَ آمَنْتُ،- আপনার উপরই ঈমান এনেছি, وَلَكَ
أَسْلَمْتُ،- এবং আপনার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছি, خَشَعَ لَكَ سَمْعِي،- আমার কান আপনার জন্য বিনয়াবনত, وَبَصَرِي، - আমার আমার চোখ আপনার জন্য বিনয়াবনত, وَمُخِّي،- আমার মস্তিষ্ক আপনার জন্য বিনয়াবনত, وَعَــــظْمِي،- আমার হাড় আপনার জন্য বিনয়াবনত, وَعَصَبِي،- আমার পেশী আপনার জন্য বিনয়াবনত, وَمَا استَقَلَّتْ بِهِ قَدَمِي - [আর যা আমার পা বহন করে দাঁড়িয়ে আছে (আমার সমগ্র সত্তা) তাও (আপনার জন্য
বিনয়াবনত)]।
অর্থ : “হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যেই রুকু করেছি, আপনার
উপরই ঈমান এনেছি এবং আপনার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছি। আমার কান, আমার
চোখ, আমার মস্তিষ্ক, আমার হাড়, আমার পেশী, সবই আপনার জন্য বিনয়াবনত। [আর
যা আমার পা বহন করে দাঁড়িয়ে আছে (আমার সমগ্র সত্তা) তাও (আপনার জন্য বিনয়াবনত)]”[5]।
০৪. রুকু থেকে উঠার দু’আ
سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ
উচ্চারণ : (সামি‘আল্লা-হু লিমান
হামিদাহ)।
শব্দার্থ : سَمِعَ – তিনি শোনেন, اللَّهُ – আল্লাহ, لِمَنْ – যিনি (যার জন্য), حَمِدَهُ – তার (আল্লাহর) প্রশংসা করেন।
رَبَّنَا
وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْداً كَثيراً طَيِّباً مُبارَكاً فِيهِ
উচ্চারণ : (রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু, হামদান কাছীরান ত্বায়্যিবান
মুবা-রাকান ফীহি)
শব্দার্থ : رَبَّنَا –
হে আমাদের প্রভূ (প্রতিপালক), وَلَكَ الْحَمْدُ،- আপনার
জন্য সকল প্রশংসা, حَمْداً كَثيراً- অনেক
প্রশংসা, طَيِّباً مُبارَكاً- উত্তম
ও মঙ্গলময় (বরকতময়), فِيهِ- যেথায়
রয়েছে।
০৫. সিজদার দু’আ
سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى
উচ্চারণ : (সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা)।
শব্দার্থ : سُبْحَانَ – পবিত্রতা ঘোষণা করছি, رَبِّيَ- আমার প্রতিপালকের, الأَعْلَى- যিনি মহান ও সুউচ্চ।
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ
اغْفِرْ لِي
উচ্চারণ : (সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়াবিহামদিকা,
আল্লা-হুম্মাগফির লী)।
শব্দার্থ : سُبْحَانَكَ – আপনার পবিত্রতা
ও মহিমা ঘোষণ করছি, اللَّهُمَّ- হে আল্লাহ !, رَبَّنَا- আমাদের প্রতিপালক,
وَبِحَمْدِكَ،- এবং আপনার প্রশংসা
করছি, اللَّهُمَّ- হে আল্লাহ !, اغْفِرْ لِي- আমাকে ক্ষমা করে
দিন।
অর্থ
: “হে আল্লাহ! আমাদের রব্ব! আপনার প্রশংসাসহ
আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন।”[9]
اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ
آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ، وَصَوَّرَهُ،
وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ، تَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسنُ الْخَالِقينَ
উচ্চারণ : (আল্লা-হুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়াবিকা আ-মানতু
ওয়া লাকা আসলামতু। সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু ওয়া সাওয়্যারাহু ওয়া শাক্কা
সাম‘আহু ওয়া বাসারাহু, তাবারাকাল্লাহু আহ্সানুল খালিক্বীন)।
শব্দার্থ : اللَّهُمَّ – হে আল্লাহ!, لَكَ سَجَدْتُ- আপনার সিজদা (মাথা অবনত) করেছি, وَبِكَ آمَنْتُ،- আপনার উপর ঈমান এনেছি, وَلَكَ أَسْلَمْتُ،-আপনার জন্য আত্মসমর্পন করেছি,
سَجَدَ وَجْهِيَ- সিজদা করেছে আমার চেহারা
(অবয়ব), لِلَّذِي خَلَقَهُ،- যিনি তা সৃষ্টি করেছেন,
وَصَوَّرَهُ،- এবং অবয়ব দান করেছেন, وَشَقَّ- এবং বিদীর্ণ করেছেন, سَمْعَهُ- যিনি কর্ণ সৃজন করেছেন,
وَبَصَرَهُ، -
এবং চক্ষু উদ্ভিন্ন করেছেন, تَبَارَكَ اللَّهُ- বরকতময় (মহিমান্বিত) আল্লাহ, أَحْسنُ- সর্বোত্তম, الْخَالِقينَ- স্রষ্টা।
অর্থ : “হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যই সিজদা করেছি, আপনার উপরই
ঈমান এনেছি, আপনার কাছেই নিজেকে সঁপে দিয়েছি। আমার মুখমণ্ডল
সিজদায় অবনত সেই মহান সত্তার জন্য; যিনি একে সৃষ্টি করেছেন এবং আকৃতি দিয়েছেন, আর তার
কান ও চোখ বিদীর্ণ করেছেন। সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ্ অত্যন্ত বরকতময়।”[10]
০৬. দুই সিজদার মধ্যবর্তী দু’আ
اللَّهُمَّ
اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِنِي، وَاجْبُرْنِي، وَعَافِنِي، وَارْزُقْنِي،
وَارْفَعْنِي
উচ্চারণ : (আল্লা-হুম্মাগফির লী, ওয়ারহামনী, ওয়াহদিনী, ওয়াজবুরনী,
ওয়া‘আফিনি, ওয়ারযুক্বনী, ওয়ারফা‘নী)।
শব্দার্থ : اللَّهُمَّ – হে আল্লাহ!, اغْفِرْ لِي،- তুমি আমাকের ক্ষমা করে দাও, وَارْحَمْنِي،- তুমি আমার ওপর রহম কর, وَاهْدِنِي،- তুমি আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত কর, وَاجْبُرْنِي،- তুমি আমার সমাস্যা দূর করে
দাও, وَعَافِنِي،- আমাকে নিরাপত্তা দান কর,
وَارْزُقْنِي،- আমাকে রিযির দান কর, وَارْفَعْنِي- আমার সম্মান বাড়িয়ে দাও।
অর্থ :
“হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথে
পরিচালিত করুন, আমার সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দিন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন, আমাকে রিযিক দান
করুন এবং আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন”[11]।
০৭. তাশাহুদ
التَّحِيَّاتُ
لِلَّهِ، وَالصَّلَواتُ، وَالطَّيِّباتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ
وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ
الصَّالِحِينَ. أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّداً
عَبْدُهُ وَرَسولُهُ
উচ্চারণ : (আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লা-হি ওয়াস্সালাওয়া-তু ওয়াত্তায়্যিবা-তু
আস্সালা-মু ‘আলাইকা আইয়্যূহান নাবিয়্যূ ওয়া রাহমাতুল্লা-হি
ওয়া বারাকা-তুহু। আস্সালা-মু ‘আলাইনা ওয়া ‘আলা ‘ইবাদিল্লা-হিস
সা-লেহীন। আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু)।
শব্দার্থ : التَّحِيَّاتُ - যাবতীয় অভিবাদন, لِلَّهِ،- আল্লাহ্র জন্য, وَالصَّلَواتُ،- অনুরূপভাবে সকল সালাত, وَالطَّيِّباتُ،- ও পবিত্র কাজও, السَّلاَمُ عَلَيْكَ-আপনার উপর বর্ষিত হোক সালাম, أَيُّهَا النَّبِيُّ- হে নবী! وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ،- আল্লাহর রহমত ও বরকতসমূহ, السَّلاَمُ عَلَيْنَا - আমাদের উপরও বর্ষিত হোক সালাম, وَعَلَى عِبَادِ
اللَّهِ الصَّالِحِينَ. - এবং আল্লাহ্র সৎ বান্দাদের উপরও, أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ - আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, وَأَشْهَدُ أَنَّ
مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسولُهُ - এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহ্র বান্দা ও রাসূল।
অর্থ : “যাবতীয়
অভিবাদন আল্লাহ্র জন্য, অনুরূপভাবে সকল সালাত ও পবিত্র কাজও।
হে নবী! আপনার উপর বর্ষিত হোক সালাম, আল্লাহর রহমত ও বরকতসমূহ। আমাদের উপর এবং
আল্লাহ্র সৎ বান্দাদের উপরও বর্ষিত হোক সালাম। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব
ইলাহ নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহ্র বান্দা ও
রাসূল”।[12]
০৮. তাশাহুদের পর নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত (দরুদ) পাঠ
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ،
كَمَا صَلَّيتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ
مَجِيدٌ،
اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ
مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ
حَمِيدٌ مَجِيدٌ
উচ্চারণ : (আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক ‘আলা
মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা বা-রাকতা ‘আলা
ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ)।
শব্দার্থ
: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، - হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ (সা.)-এর ওপর রহমত নাযিল করুন,
وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ،- এবং তাঁর পরিবার-পরিজনের ওপরও, كَمَا صَلَّيتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ،- যেমন আপনি সম্মানের সাথে স্মরণ করেছেন ইবরাহীমকে, وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ،- ও তাঁর পরিবার-পরিজনদেরকে, إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ،- নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত, اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ- হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ উপর বরকত নাযিল করুন, وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ،- ও তাঁর পরিবার পরিজনের উপরও বরকত নাযিল করুন, كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ- যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীম (আ.) –এর উপর, وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ،- ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর, إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ- নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত।
অর্থ : “হে আল্লাহ! আপনি (আপনার নিকটস্থ উচ্চসভায়) মুহাম্মাদকে
সম্মানের সাথে স্মরণ করুন এবং তাঁর পরিবার-পরিজনকে, যেমন আপনি সম্মানের সাথে স্মরণ
করেছেন ইবরাহীমকে ও তাঁর পরিবার-পরিজনদেরকে। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত।
হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবার পরিজনের উপর বরকত নাযিল করুন যেমন আপনি
বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত
ও মহামহিমান্বিত” [13]|
০৯. সালামের আগে শেষ তাশাহহুদের পরের দু’আ বা দু’আ মাছূরা সমূহঃ
اللَّهُــمَّ
إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَمِنْ
فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ
উচ্চারণ : (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু
বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি ওয়া মিন ‘আযা-বি জাহান্নামা, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ্ইয়া
ওয়াল মামা-তি, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল)।
শব্দার্থ : اللَّهُــمَّ - হে আল্লাহ!, إِنِّي أَعُوذُ بِكَ- আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি, مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ،- কবরের আযাব থেকে, وَمِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ،- এবং
জাহান্নামের আযাব থেকে, وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا
وَالْمَمَاتِ، -এবং
জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে, وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ- এবং মাসীহ
দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্টতা থেকে।
অর্থ
: “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন-মৃত্যুর ফিতনা
থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্টতা থেকে”।[14]
اللَّهُمَّ
إِنِّي أَعوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَأَعوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ
الدَّجَّالِ، وَأَعوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ. اللَّهُمَّ
إِنِّي أَعوذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ
উচ্চারণ : (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিন আযা-বিল ক্বাবরি,
ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ্ দাজ্জা-লি, ওয়া আ‘উযু
বিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামা-ত। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল মা’ছামি ওয়াল মাগরামি)।
শব্দার্থ
: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، - হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কবরের আযাব থেকে, এবং وَأَعوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ،- এবংআমি আশ্রয় চাই মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে, وَأَعوذُ بِكَ مِنْ
فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ.- এবংআমি আশ্রয় চাই জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে, اللَّهُمَّ إِنِّي
أَعوذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ- হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই পাপাচার ও ঋণের
বোঝা থেকে।
অর্থ
: “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কবরের
আযাব থেকে, আশ্রয় চাই মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে এবং আশ্রয়
চাই জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই পাপাচার ও ঋণের
বোঝা থেকে”।[15]
اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي
ظُلْماً كَثِيراً، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنوبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي
مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الغَفورُ الرَّحيمُ
উচ্চারণ : (আল্লা-হুম্মা ইন্নী যলামতু নাফসী যুলমান কাসীরা। ওয়ালা
ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা। ফাগফির লী মাগফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা
ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর রাহীম)।
শব্দার্থ
: إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي اللَّهُمَّ - হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপর যুলুম করেছি, ظُلْماً كَثِيراً،- অনেক যুলুম, وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنوبَ
إِلاَّ أَنْتَ،- আর আপনি ছাড়া গুনাহসমূহ কেউই ক্ষমা
করতে পারে না, فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً- অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন, مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي،- আপনার পক্ষ থেকে বিশেষ ক্ষমা দ্বারা, আর আমার প্রতি দয়া করুন; إِنَّكَ أَنْتَ الغَفورُ الرَّحيمُ- আপনিই তো ক্ষমাকারী, পরম দয়ালু।
অর্থ
: “হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপর অনেক যুলুম
করেছি। আর আপনি ছাড়া গুনাহসমূহ কেউই ক্ষমা করতে পারে না। অতএব আমাকে আপনার পক্ষ
থেকে বিশেষ ক্ষমা দ্বারা মাফ করে দিন, আর আমার প্রতি দয়া করুন; আপনিই তো ক্ষমাকারী, পরম দয়ালু”।[16]
১০.
সালাম ফিরানোর পরের যিকির সমূহ
1. ivm~j (mvt) dih bvgv‡hi mvjvg wdiv‡bvi ciB DPz AvIqv‡R اَللَّهُ أَكْبَرُ (Avjøvû AvKevi) ej‡Zb| mvnvex Be&b AveŸvm
(ivt) e‡jb t Avwg H ZvKexi ï‡b ivm~‡ji (mvt) bvgvh †kl nIqv eyS‡Z ciZvg| [cÖgvY t eyLvix, gymwjg,
wgkKvZ : 88 c„ôv]|
2. Zvici wZbevi ej‡Zb t أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ (Av¯ÍvMwdiæjøvn) A_© t (bvgv‡h †h
f~j-ÎæwU n‡q‡Q) Avwg Zvi Rb¨ Avjøvni wbKU ÿgv cÖv_©bv KiwQ| [cÖgvY t mnxn& gymwj
1/414]|
3. Zvici GKevi co‡Zb t اللَّهُمَّ
أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ D”PviY t (আল্লা-হুম্মা আনতাস্ সালা-মু ওয়া মিনকাস্
সালা-মু তাবা-রক্তা ইয়া যালজালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম)। A_© t †n Avjøvn& Zzwg kvwšÍgq Avi †Zvgvi wbKU n‡ZB
kvwšÍi AvMgb, Zzwg Kj¨vYgq I eiKZ I gh©v`vgq| [cÖgvb t mnxn& gymwjg 1/414]|
4. ivm~j (mvt) gyÕAvh‡K (ivt) e‡jb ÔZzwg (wb‡¤œi) GB `yÕAvwU bvgv‡hi
ci co‡Z KL‡bv ‡Q‡o w`Ibv t رب أعنى على ذكرك وشكرك وحسن عبادتك D”PviY t ivweŸ
AvÔBbœx Avjv whK& wiKv Iqv ïK& wiKv Iqv ûm& wb Cev`vwZK|Õ A_© t
†n Avjøvn& †Zvgvi whwKi, †Zvgvi K…ZÁZv Ávcb, †Zvgvi Cev`Z mwVK I my›`i fv‡e
mgvavb Kivi Kv‡R Avgv‡K mvn‡hvwMZv Ki| [cÖgvY t Ave~ `vE` 2/86, bvmvC 3/53]|
5. Zvici ej‡Z t
لاَ
إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ
وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ [তিনবার]،
اللَّهُمَّ
لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا
الْجَدِّ مِنْكَ الجَدُّ
(লা ইলা-হা
ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা
কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। [তিন বার] আল্লা-হুম্মা লা মানি‘আ লিমা আ‘তাইতা, ওয়ালা মু‘তিয়া
লিমা মানা‘তা, ওয়ালা ইয়ানফা‘উ যালজাদ্দি মিনকাল জাদ্দু)।
“একমাত্র
আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি
সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।” (তিনবার) হে আল্লাহ, আপনি যা প্রদান করেছেন তা বন্ধ
করার কেউ নেই, আর আপনি যা রুদ্ধ করেছেন তা প্রদান করার কেউ নেই। আর কোনো
ক্ষমতা-প্রতিপত্তির অধিকারীর ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি আপনার কাছে কোনো উপকারে আসবে
না।”[17]
6. Zvici co‡Zb t
لَا
إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمدُ،
وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ. لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ،
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَلاَ نَعْبُدُ إِلاَّ إِيَّاهُ, لَهُ النِّعْمَةُ
وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ، لَا إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ مُخْلِصِينَ
لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الكَافِرُونَ
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা
লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। লা
হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়ালা না‘বুদু ইল্লা
ইয়্যাহু। লাহুন নি‘মাতু ওয়া লাহুল ফাদলু, ওয়া লাহুসসানাউল হাসান। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
মুখলিসীনা লাহুদ-দীন ওয়া লাও কারিহাল কাফিরূন)।
“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত
প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহর
সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি
নেই। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমরা কেবল তাঁরই ইবাদত করি, নেয়ামতসমূহ
তাঁরই, যাবতীয় অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই।
আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমরা তাঁর দেয়া দ্বীনকে একনিষ্ঠভাবে
মান্য করি, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে”।[18]
سُبْحَانَ
اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ» (৩৩ বার)
لاَ
إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ
وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
(সুবহা-নাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লা-হু আকবার) (৩৩বার), (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল
মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি
শাই’ইন কাদীর)।
“আল্লাহ কতই না পবিত্র-মহান। সকল প্রশংসা
আল্লাহ্র জন্য। আল্লাহ সবচেয়ে বড়।” (৩৩ বার),
“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো
শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা
তাঁরই এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।”[19]
০৭. প্রত্যেক সালাতের পর একবার, সূরা ইখলাস, সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস:
بِسْمِ
اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ﴿ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ (1) اللَّهُ
الصَّمَدُ (2) لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ (3) وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
(4) ﴾
বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহীম (ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লাহুস্ সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম
ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ)।
রহমান, রহীম
আল্লাহর নামে। “বলুন, তিনি আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয়।
আল্লাহ্ হচ্ছেন ‘সামাদ’ (তিনি কারো মুখাপেক্ষী
নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী)। তিনি কাউকেও জন্ম দেন নি এবং তাঁকেও
জন্ম দেয়া হয় নি। আর তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।”
بِسْمِ اللّٰهِ
الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ﴿ قُلْ أَعُوذُ
بِرَبِّ الْفَلَقِ (1) مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ (2) وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
(3) وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ (4) وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا
حَسَدَ ﴾،
বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহীম (ক্বুল আ‘উযু বিরব্বিল ফালাক্ব। মিন শাররি মা খালাক্ব। ওয়া মিন
শাররি গা-সিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। ওয়া মিন
শাররি হা-সিদিন ইযা হাসাদ)।
রহমান, রহীম
আল্লাহর নামে। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে।
‘আর অনিষ্ট হতে রাতের অন্ধকারের, যখন তা
গভীর হয়। আর অনিষ্ট হতে সমস্ত নারীদের, যারা গিরায় ফুঁক দেয়।
আর অনিষ্ট হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।”
بِسْمِ
اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ﴿ قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ
النَّاسِ (1) مَلِكِ النَّاسِ (2) إِلَهِ النَّاسِ (3) مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ
الْخَنَّاسِ (4) الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ (5) مِنَ الْجِنَّةِ
وَالنَّاسِ ﴾
বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহীম (ক্বুল ‘আউযু বিরাব্বিন্না-স। মালিকিন্না-সি, ইলা-হিন্নাসি, মিন শাররিল ওয়াসওয়া-সিল খান্না-স, আল্লাযি
ইউওয়াসউইসু ফী সুদূরিন না-সি, মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স।)।
রহমান, রহীম
আল্লাহর নামে। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের রবের, মানুষের অধিপতির,
মানুষের ইলাহের কাছে, আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে; যে কুমন্ত্রণা দেয়
মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্য থেকে এবং মানুষের মধ্য থেকে।”[20]
আয়াতুল
কুরসী। প্রত্যেক সালাতের পর একবার। আর তা হচ্ছে,
اللَّهُ
لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ
لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ
عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ
وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ
السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ
الْعَظِيمُ ﴾.
(আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল
কাইয়্যূমু লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহূ মা-ফিসসামা-ওয়া-তি
ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা
বিইযনিহী। ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম
মিন্ ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা
ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম)।
“আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো
সত্য ইলাহ্ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও
স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্রাও নয়। আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে
যা রয়েছে সবই তাঁর। কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ
করবে? তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন। আর যা
তিনি ইচ্ছে করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টন করতে পারে না। তাঁর
‘কুরসী’ আসমানসমূহ ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে; আর এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ সুমহান।”[21]
لاَ
إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ
يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা
লাহু, লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হাম্দু ইয়ুহ্য়ী ওয়াইয়ূমীতু
ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।
“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তারই এবং সকল
প্রশংসা তাঁর। তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান”।
اللَّهُمَّ
إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْماً نافِعاً، وَرِزْقاً طَيِّباً، وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً
(আল্লা-হুম্মা
ইন্নী আস্আলুকা ‘ইলমান না-ফি‘আন্ ওয়া রিয্কান ত্বায়্যিবান
ওয়া ‘আমালান মুতাক্বাব্বালান)।
“হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুলযোগ্য আমল প্রার্থনা করি।”
[2] মুসলিম, নং
৩৯৯; আর সুনান গ্রন্থকার চারজন। আবু দাউদ, নং ৭৭৫; তিরমিযী, নং ২৪৩; ইবন মাজাহ্,
নং ৮০৬; নাসাঈ, নং ৮৯৯। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৭৭; সহীহ ইবন মাজাহ্ ১/১৩৫।
[3] সুনানের
গ্রন্থাকারগণ ও আহমাদ হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন। আবূ দাউদ, নং ৮৭০; তিরমিযী, নং ২৬২; নাসাঈ, নং ১০০৭; ইবন মাজাহ্, নং ৮৯৭; আহমাদ,
নং ৩৫১৪। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৮৩।
[5] মুসলিম ১/৫৩৪, নং ৭৭১; তাছাড়া চার সুনান গ্রন্থকারগণের মধ্যে ইবন মাজাহ ব্যতীত সবাই
তা উদ্ধৃত করেছেন। আবূ দাউদ, নং ৭৬০, ৭৬১; তিরমিযী, নং ৩৪২১; নাসাঈ, নং ১০৪৯; তবে দুই ব্রাকেটের অংশ ইবন
খুযাইমার শব্দ, নং ৬০৭; ইবন হিব্বান, নং ১৯০১।
[8] হাদীসটি
সুনানগ্রন্থকারগণ ও ইমাম আহমাদ সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ, হাদীস নং ৮৭০; তিরমিযী, হাদীস নং ২৬২; নাসাঈ, হাদীস নং ১০০৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৮৯৭;
আহমাদ, হাদীস নং ৩৫১৪। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৮৩।
[11] হাদীসটি নাসাঈ
ব্যতীত সুনান গ্রন্থগারগণ সবাই সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ, ১/২৩১, নং ৮৫০; তিরমিযী, নং ২৮৪, ২৮৫; ইবন মাজাহ, নং ৮৯৮। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৯০;
সহীহ ইবন মাজাহ ১/১৪৮।
[17] বুখারী ১/২২৫, নং ৮৪৪; মুসলিম ১/৪১৪, নং ৫৯৩। আর দু ব্রাকেটের মাঝের অংশ বুখারীতে
বর্ধিত এসেছে, নং ৬৪৭৩।
[19] মুসলিম,
১/৪১৮, নং ৫৯৭; আর তাতে রয়েছে, যে ব্যক্তি প্রতি নামাযের পরে সেটা বলবে, তার
পাপরাশি ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির মত হয়।
[20] আবু দাঊদ ২/৮৬, নং ১৫২৩; তিরমিযী, নং ২৯০৩; নাসাঈ ৩/৬৮, নং ১৩৩৫। আরও দেখুন, সহীহুত
তিরমিযী, ২/৮। আর উপর্যুক্ত তিনটি সূরাকে ‘আল-মু‘আওয়াযাত’ বলা হয়। দেখুন, ফাতহুল
বারী, ৯/৬২।
[21] হাদীসে এসেছে,
“যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পরে এটি পড়বে, তাকে মৃত্যু ব্যতীত জান্নাতে প্রবেশে
আর অন্য কিছু বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।” নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ, নং ১০০;
ইবনুস সুন্নী, নং ১২১। আর শাইখ আলবানী হাদীসটিকে সহীহুল জামে‘ ৫/৩৩৯ তে এবং
সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহা ২/৬৯৭, নং ৯৭২ তে সহীহ বলেছেন। আর আয়াতটি দেখুন, সূরা আল-বাকারাহ্-২৫৫।
[22] তিরমিযী ৫/৫১৫, নং ৩৪৭৪; আহমাদ ৪/২২৭, নং ১৭৯৯০। হাদীসটির তাখরীজের জন্য আরও দেখুন,
যাদুল মা‘আদ ১/৩০০।
[23] ইবন মাজাহ্, নং ৯২৫; নাসাঈ, তাঁর আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ গ্রন্থে, হাদীস নং ১০২। আরও দেখুন, সহীহ
ইবন মাজাহ, ১/১৫২; মাজমাউয যাওয়াইদ, ১০/১১১। তাছাড়া অচিরেই ৯৫ নং হাদীসেও আসবে।