Monday, 29 April 2019

আমরা কিভাবে রামাদানের প্রস্তুতি নিব?


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আমরা কিভাবে রামাদানের প্রস্তুতি নিব?
মুফতি আব্দুস সালাম হুসাইন আলী

অবতরণিকাঃ
সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ তা‘আলার জন্য যিনি আমাদেরকে রামাদানের প্রস্তুতি গ্রহণের তাওফীক্ব দান করেছেন। সালাম, শান্তি ও সালাত বর্ষিত মুহাম্মাদ () -এর প্রতি যিনি রামাদান আগমন করলে ‘স্ত্রীদের থেকে পৃথক হয়ে ইবাদত করতেন’। সাহাবা, তাবি‘য়ী, তাবি-তাবি‘য়ীসহ সকল মুসলিমদের প্রতিও যারা রামাদানের আগমনে বহুরূপী ইবাদতে আত্মসনয়োগ করেন।

রামাদান মাস উপলক্ষে প্রস্তুতি নেয়ার কিছু প্রশংসনীয় ও অতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হল নিম্নরূপঃ
০১. সত্যিকার তাওবাহ ও ইস্তিগফার করাঃ
জীবনে কৃত সকল অন্যায়, অপরাধ থেকে তাওবাহ করা। মনে রাখতে হবে কৃত অপরাধটি যেন আর পূণরাবৃত্তি না ঘটে, এজন্য অনুশোচিত হওয়া, ভাল-উত্তম ও সাওয়াবের কাজ করা। গুনাহমুক্ত পবিত্র মন ও প্রশান্ত হৃদয় নিয়ে রামাদানে প্রবেশ করে আনুগত্য ও ইবাদাতে মশগুল হওয়া।

আল্লাহ তাআলা বলেছেন : ﴿وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ “আর হে মুমিনেরা, তোমরা সবাই, আল্লাহর কাছে তাওবাহ কর যাতে করে সফলকাম হতে পার[সূরা আন-নূর: ৩১]

আল-আগার ইবন ইয়াসার (রা) থেকে বর্ণিত, নবী () বলেছেন : يَا أَيُّهَا النَّاسُ تُوبُوا إِلَى اللَّهِ فَإِنِّي أَتُوبُ فِي الْيَوْمِ إِلَيْهِ مِائَةَ مَرَّةٍ হে লোক সকল, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবাহ কর কেননা, আমি দিনে তাঁর কাছে ১০০ বার তাওবাহ করি[মুসলিম (২৭০২)]

০২. অধিক পরিমাণে দু‘আ পাঠ করাঃ
কোনো কোনো পূর্বসূরী (সাহাবীগণ, তাবিঈনগণ .....) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তাঁরা ৬ মাস ধরে আল্লাহর কাছে দু‘আ করতেন যাতে তিনি তাঁদের রমযান মাস পাওয়ার তাওফীক্ব দেন, এরপর (রমযান শেষে) ৫ মাস ধরে এই দু‘আ করতেন যেন (রমযানের আমালসমূহ) তাদের কাছ থেকে কবুল করা হয়তাই একজন মুসলিম তার রবের কাছে দোআ করবে যাতে তিনি তাকে রমযান মাস পাবার তাওফীক্ব দেন সর্বোত্তম দীনি অবস্থা ও শারীরিক সুস্থতার মাঝে এবং তাঁর কাছে এই দোআ করবে যাতে তিনি তাকে তাঁর আনুগত্যে সাহায্য করেন এবং তাঁর কাছে এই দোআ করবে যাতে তিনি তার আমল কবুল করেন

০৩. এই মহান মাসের আসন্ন আগমনে আনন্দিত হওয়াঃ
রমযান মাসের আগমন একজন মুসলিম বান্দার প্রতি আল্লাহ্ র সুমহান নিআমাতগুলোর (অনুগ্রহসমূহের) একটি, কারণ রমযান কল্যাণময় একটি মওসুমএ মাসে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়এটি হল ক্বুরআনের মাস, আমাদের দীনের গুরুত্বপূর্ণ, চূড়ান্ত সংগ্রামের মাস
আল্লাহ তাআলা বলেছেন : ﴿قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ বলুন, আল্লাহ্ র অনুগ্রহে ও তাঁর দয়ায়, অতঃপর এর দ্বারা তারা আনন্দিত হোক; তা, তারা যা সঞ্চয় করে তা থেকে উত্তম[সূরা ইঊনুস : ৫৮]

০৪. ওয়াজিব সিয়াম হতে নিজেকে দায়িত্ব মুক্ত হওয়াঃ
আবূ সালামাহ হতে বর্ণিত যে তিনি বলেছেন : عَنْ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ : سَمِعْتُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا تَقُولُ : »كَانَ يَكُونُ عَلَيَّ الصَّوْمُ مِنْ رَمَضَانَ فَمَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَقْضِيَهُ إِلا فِي شَعْبَانَ আবু সালামাহ বলেন, আমি আয়েশাহ্  রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বলতে শুনেছি, “আমার উপর বিগত রমযানের সাওম বাকি থাকত যার কাযা আমি শাবান ছাড়া আদায় করতে পারতাম না[বুখারী : ১৮৪৯ ও মুসলিম : ১১৪৬] হাফিজ ইবনু হাজার-রাহিমাহুল্লাহ- বলেছেন : এ হাদীস দ্বারা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা কর্তৃক শাবান মাসে রমযানের সিয়াম পালনের চেষ্টা প্রমাণ করে যে, এক রমযান এর কাযা আরেক রমযান প্রবেশ করা পর্যন্ত দেরী করা জায়েয নয়[ফাতহুল বারী (৪/১৯১)]

০৫. পর্যাপ্ত ইলম (জ্ঞান) অর্জন করা। যাতে সিয়ামের হুকুম-বিধি-বিধান এবং রমযান মাসের মর্যাদা সম্পর্কে জানা যায়
০৬. রমযান মাসের ইবাদাত থেকে একজন মুসলিমকে বিরত করতে পারে এমন কাজসমূহ দ্রুত সম্পন্ন করে ফেলা
০৭. পরিবারের সদস্যবর্গ যেমন-স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে বসে তাদেরকে সিয়ামের বিধি-বিধান শিক্ষা দেয়া এবং ছোটদের সিয়াম পালনে উৎসাহিত করা
০৮. কিছু বই প্রস্তুত করা যা বাড়িতে বসে পড়া সম্ভব বা মাসজিদের ইমামকে উপহার দেয়া, যা তিনি রমযান মাসে লোকদের পড়ে শোনাবেন
০৯. রমযান মাসের প্রস্তুতিস্বরূপ শাবান মাস থেকেই সিয়াম পালন শুরু করা
আয়েশাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন :
كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ لا يُفْطِرُ وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ لا يَصُومُ، فَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَكْمَلَ صِيَامَ شَهْرٍ إِلا رَمَضَانَ، وَمَا رَأَيْتُهُ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَانَ
রাসূলুল্লাহ () এমনভাবে সিয়াম পালন করতেন যে আমরা বলতাম তিনি আর সিয়াম ভঙ্গ করবেন না এবং এমনভাবে সিয়াম ভঙ্গ করতেন যে আমরা বলতাম, তিনি আর সিয়াম পালন করবেন নাআমি রাসূলুল্লাহ () কে রমযান ছাড়া অন্য কোন মাসের গোটা অংশ সাওম পালন করতে দেখিনি এবং শাবান ছাড়া অন্য কোনো মাসে অধিক সিয়াম পালন করতে দেখি নি[বুখারী : ১৮৬৮ ও মুসলিম : ১১৫৬]

১০. কুরআন তিলাওয়াত ও রামাদানে সালাফদের অবস্থা :
সালামাহ ইবন কুহাইল বলেছেন : শাবান মাসকে ক্বারীগণের মাস বলা হত
আমর ইবন ক্বাইস, শাবান মাস শুরু হলে, তাঁর দোকান বন্ধ করে কুরআন তিলাওয়াতের জন্য অবসর নিতেন
আবূ বাকর আল-বালাখী বলেছেন : রাজাব মাস হল বীজ বপনের মাস, শাবান মাস হল ক্ষেতে সেচ প্রদানের মাস এবং রমযান মাস হল ফসল তোলার মাস
তিনি আরও বলেছেন : রাজাব মাসের উদাহরণ হল বাতাসের ন্যায়, শাবান মাসের উদাহরণ মেঘের ন্যায়, রমযান মাসের উদাহরণ বৃষ্টির ন্যায় ; তাই যে রাজাব মাসে বীজ বপন করল না, শাবান মাসে সেচ প্রদান করল না, সে কীভাবে রমযান মাসে ফসল তুলতে চাইতে পারে?”
রাজাব মাস গত হয়েছে, আর আমরা শাবান মাসে কি করবঃ যদি রমযান মাস পেতে চাই?
এটা হলো বরকতময় মাসে আমাদের নবী ও উম্মাতের পূর্বসূরীগণের অবস্থাএ সমস্ত আমল ও মর্যাদাপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান কী হবে?

 উপসংহারঃ
মহান আল্লাহ আমাদেরকে রামাদানের পরিপূর্ণ পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতঃ তদানুযায়ী ‘আমল করে আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমে জান্নাত অর্জন করার তাওফীক্ব দান করুন, আমীণ।

Thursday, 25 April 2019

কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের শত বর্ষের ঐতিহ্য মূহুর্তেই ধুলায় ধুলিস্যাৎ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
তীর্যক মন্তব্য ; আদব আলীর বেয়াদবী, আত্মচেতনা ফিরানোর জন্য করণীয় ও বর্জনীয়ঃ
কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের শত বর্ষের ঐতিহ্য মূহুর্তেই ধুলায় ধুলিস্যাৎ
প্রশ্নপত্র ফাঁস এ যেন আকাবিরদের শক্ত ইমেজের জীবন্ত ও সলীল সমাধীঃ
মুফতি আব্দুস সালাম হুসাইন আলী

বাংলাদেশের কওমী শিক্ষাঙ্গনকে কোলষিত, দূষিত, দূর্নীতিতে নিমজ্জিত করতে এক শ্রেণির ধোকাবাজ, প্রতারক, দুশ্চরিত্র, জ্ঞানপাপী, লেবাসধারী ও আলেম নামধারী অসাধু উলামায়ে ছু প্রশ্নপত্র জালিয়াতি চক্র ও সিন্ডিকেট বাহিনী শত-সহস্র আকাবিরদের স্মৃতিবিজরিত ঐতিহ্যবাহী দ্বীনী শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস ও অধঃপতনে হীন ও ঘৃণিত পায়তারা করছে। তাদের এহেন ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডে ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জ্ঞাপনের ভাষাও হারিয়ে গেছে আলেম সমাজের শব্দ ভান্ডার বা অভিধান থেকে। তারা তাদের কর্মের মাধ্যমে প্রমাণিত করল যে, তারা ইসলাম-মুসলিম, আল্লাহ ও তদ্বীয় রাসূল (সা)-এর চরম দুষমন ও শত্রু। যারা আগামী দিনের সোনালী সূর্য তথা সদ্য প্রস্ফটিত ফারেগীন ২৬ হাজার তরুণ আলেমদের জীবন নিয়ে রঙ্গহাসি ও হোলি খেলায় মত্ত। প্রথম বারেই পশ্নপত্র ফাঁসেই যদি এদের চরম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা হত তাহলে দ্বিতীয় বার পূণরাই পশ্নপত্র ফাঁসের মত কোন স্পর্ধা দেখানোর দুঃসাহস হত না।


কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের এহেন দুর্দিনে সমবেধনার বহিঃপ্রকাশে দুঃখের স্মৃতিমাখা রসিকবাণী ব্যক্ত করেন :

উড়ন্ত দুরন্ত পাখিটি কি কখনো ভাবে যে, নীল আকাশে উড়াল দেয়া ডানা মেলানোর পূর্ব সময় কাল বৈশাখি ঝড়ের তীব্র প্রচন্ড আঘাতে সব কিছু লন্ডবন্ডের মাধ্যমে নিঃশেষ হয়ে অস্তিত্ত্ব হারাতে হবে? ভাবেনা তবুও নিয়তির কাছে হার মানতে হয়

বাংলাদেশের কওমীর ভাগ্যাকাশে কালো অমাবশ্যার ঘুডঘুটে অন্ধকার অশনী সংকেত। আকাবিরদের স্মৃতিবিজরিত ঐতিহ্যবাহী দ্বীনী শিক্ষা ব্যবস্থার ধ্বংস ও অধঃপতনের হীন ও ঘৃণিত পায়তারা করছে এক শ্রেণির জালিয়াতি সিন্ডিকেট। যারা বিদেশী প্রভুদের এনে সমাধানের নামে তথা সরকারী নিয়ন্ত্রনের নামে কওমী শিক্ষা ব্যবস্থা তাদের হাতে ইজারা দিতে চায়।

ঠিক তদ্রুপ মানব সম্প্রদায় ভাবে এক হয় আরেক। সে অজানা ভবিষ্যতের দিকে পারি দিচ্ছে অথচ তাকে নিশ্চিত পারি দিতে হবে অসংখ্য পর্বতসম বিপদ সঙ্কুল কঙ্কটাকীর্ণ, পিচ্চিল ঘিরিপথ যার চতু্র্পাশ্বে রয়েছে আগ্নেয়গিরি, খুদার্ত ভয়ঙ্কর হিংস্র বণ্য প্রাণী রক্তসাগর, পিপাসা নিবারণের নেই কোন উপায়-উপক্রম

মাতৃকোলের অবুঝ নির্ভোদ শিশুকে কাল্পনিক কৃত্রিম সান্তনা-হেতু মা জননী হস্ত ইঙ্গিতে দুর-দুরান্তের ছদ্মনামের চাঁদ মামাকে যতই ডাকুক সে চাঁদ মামা কি সত্যিই আসে এবং কপালে টিপ দেয়? না কখোন না আর এটা নিছক কল্পনা জগতের রাজকুমারের আজব  অবাস্তব গল্প বৈ কিছুই য়।

খনস্থায়ী পার্থিব বস্তুজগতের কয়েক মুহুর্তের অতিথি হয়ে কেন এতো বহুরূপী বর্ণচোরামী? কেন বহুদলে বিভক্তি? কেন এত মতবিরোধ? কুরআন-হাদিস সহিহ আক্বিদার পরিবর্তে কেন জাল-বানোয়াটের গ্রহযোগ্যতা  ‘আমল? কেন মানাভিমান? কেন অষাঢ় বাক্যলাপ?

কেন নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত আমানতের খেয়ানত জনিত পশ্ন ফাঁস, কেন জাতির সাথে গাদ্দারী? কেন মীর জাফরী? ক্ষনিকের জন্য স্বল্প সময়ে অল্প মূল্যে বিশাল সুবিধা গ্রহণের ন্যায় রাতারাতি আঙ্গুল ফুঁলে কলাগাছের মত হওয়ার মনোভাব, স্বার্থস্বিদ্ধী হাসিলে দলীয়, আত্মীয় করণ ও স্বজনপ্রীতি?

আজ কেন মানবাধিকার লঙ্গিত? পিতা-মাতা কেন সন্তানের জন্য বোঝা? নিড়ীহ মানুষ কেন নির্যাতত? ক্ষমতা ও স্বাথের প্রতি কেন এত লোভ-মোহ? কেন এত অন্তর্দদ্ধ? কেন নিজেদের দোষ-ত্রুটির ছিদ্রান্বেশন, শান্তি-সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব-সৌহার্দ বিনষ্টে কেন এতো গোয়েন্দাগিরী ও কাদা ছোঁড়াছোড়ি, কেন এতো গোঁড়ামী, হীনতা-দীনতা, হীনমন্নতা, কাঠিন্যতা, উগ্রতা-অসৃঙ্খলতা ও সংকীর্ণতায় পরিপূর্ণতা, নেই কেন আমাদের মাঝে উদারতা, বদান্যতা, সহনশীলতা, সংযমতা, প্রশস্থতা, উন্মুক্ততা?

সেহেতু প্রাণাধিক প্রিয় বন্ধুপ্রবর ভ্রাতাগণ! দেশ, জাতি ও সমাজের নেতৃত্বদানকারী আলেম ও আলেম নাম্বীয় সম্প্রদায়গণ! আসুন সব কিছু পরিহার করে ইহ-লৌকিক ও পার-লৌকিক জীবনের সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি, স্বাচ্ছন্দ্য, সফলতা, মঙ্গল, কল্যাণের মাধ্যমে চির সুখের শান্তিনিবাস জান্নাত অর্জনে আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলার সন্তুষ্টি অনুযায়ী বাস্তবকর্ম অনুশীলন ও ‘আমল করি এবং রাসূল (সা)-এর সীরাহ তথা জীবন চরিত অনুসরণ করে নিজেদেরকে আদর্শ ও সোনার মানুষে পরিণত করি, দেশ, জাতি ও সমাজের আমানত যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও আদায় করি।

পশ্নপত্র ফাঁসে নবীন কতেক ফারেগীন আলেমের অভিব্যক্তি :
ক. আজকে আর কান্না থামাতে পারলামনা বুকটা ফেঁটে কান্না আসছে হাউমাউ করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। সারা রাত নিদ্রবিহীন পড়াশুনা করে পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পর শুনতে পেলাম : আল-হাই আতুল উলইয়ার কর্তৃপক্ষের আদেশে ; পশ্নপত্র ফাঁসের দায়ে অনিভার্য কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হলো’। কী হচ্ছে আলেম নামধারী এই সমাজের? কেন হচ্ছে এসব? কাদের মাধ্যমে হচ্ছে এসব? জাতি কি আশা করবে আলেম নামধারী ব্যক্তিদের নিকট? কী হবে সাধারন ছাত্রদের?

খ. কলঙ্কিত ‘আল-হাই আতুল উলইয়া’ নামক বোর্ডের কোন প্রয়োজন নেই। ২৬ হাজার ছাত্রদের কষ্ট কলঙ্কিত হায়ার কারণে। বেহায়ামূলক কর্মে হায়ার পরীক্ষা আবারও বাতিল?

গ. জিন শয়তানের চাইতে মানব শয়তান মানবের জন্য বেশি ক্ষতিকারক। মানব সয়তান প্রকাশ্যে ধোকা দেয় আর জিন শয়তান অন্তরে ধোকা দেয়

ঘ. হাইয়া- আবারো ফাঁসআবারো বাতিলপুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তার বিকল্প নেই।


আশঙ্কাঃ কওমী ঘরণার আলেম সমাজ কওমী সনদের যে স্বীকৃতি চেয়েছিলেন’ তা কিন্তু পাননি। আর যা পেয়েছেন তা কিন্তু চাননি। যাক বর্তমান উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতিতে শীল আর পাটার ঘর্ষণে মরিচের যে অবস্থা হয় তথা প্রশ্ন জালিয়াতি চক্র ও সিন্ডিকেট এবং হাইয়ার প্রশ্ন ফাঁসে সমাধান করবে সরকার। আর এর কোন বিকল্প নেই। এর ফলস্রোতিতে কওমীর ঐতিহ্য আর অবশিষ্ঠ্য থাকবে না এটা বর্তমান সময়ের অশণী সংকেত। আল্লাহ রহম করুন।