কন্যা
সন্তান সৌভাগ্যের পরশমনী ও বরকতের প্রতীকঃ
আব্দুস সালাম হুসাইন আলী
কন্যা শিশুর জন্মে আনন্দ ও খুশি উদযাপন করা উচিত। কারণ, বিশ্বনবী (সা.) কন্যা
সন্তানের ব্যাপারে সুসংবাদ ও ফযীলত ঘোষণা করেছেন :
০১. আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যার দু’টি কন্যা আছে আর সে উত্তমভাবে তাদের
ভরণ-পোষণ করল এবং উপযুক্ত হওয়ার পর ভালো পাত্রের কাছে বিবাহের ব্যবস্থা করল, আমি ও সে জান্নাতে এভাবে প্রবেশ করব, যেভাবে এ দু’টি আঙ্গুল মিলে আছে। একথা বলে তিনি ডান হাতের শাহাদাত ও মধ্যমা আঙ্গুলদ্বয় মিলিয়ে দেখালেন।’ [সহিহ ইবনে হিব্বান : ২০৪৩]।
০২. অন্য একটি হাদিসে এসেছে, ‘যার তিনটি কন্যা আছে, অথবা দু’টি কন্যা আছে এবং সে তাদের সাথে উত্তমভাবে
জীবন অতিবাহিত করে। তাদের হকসমূহ
আদায়ের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তায়ালা তাকে বিনিময়
স্বরূপ জান্নাত দান করবেন।’ [তিরমিজি : ১৯৮৮]
উল্লেখিত
হাদিস থেকে তিনটি বিষয় প্রতিয়মাণ হয়।
০১. কন্যা সন্তান লালন-পালনের বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা তাকে জাহান্নাম হতে
মুক্তি দেবেন।
০২. তার উপর আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন।
০৩. জান্নাতে সে প্রিয়নবী (সা.) এর সান্নিধ্য
লাভে ধন্য হবে।
No comments:
Post a Comment