কুরআনে বর্ণিত লুকমান হাকীমের গুরুত্বপূর্ণ নয়টি উপদেশ
রচনা, সংগ্রহ ও সঞ্চয়নে
মুফ্তি আব্দুস সালাম
হুসাইন আলী, ধোবাউড়া, ময়মনসিংহ।
النصيحة الأولي
: قَالَ اللَّهُ تَعَالَي : ﴿ وَإِذْ قَالَ لُقْمَانُ لِابْنِهِ وَهُوَ
يَعِظُهُ يَا بُنَيَّ لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ ﴾ ১৩
প্রথম উপদেশ ঃ মহান আল্লাহ্ তা’আলা বলেন : ‘যখন লুক্বমান উপদেশচ্ছলে তার পুত্রকে বলেছিলেন : হে বৎস! আল্লাহর
সাথে কাউকে শরীক করো না। নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়’। [সূরা লুক্বমান : ১৩]
النصيحة
الثانية : قَالَ اللَّهُ تَعَالَي : ﴿ يَا بُنَيَّ إِنَّهَا إِنْ تَكُ مِثْقَالَ
حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ فَتَكُنْ فِي صَخْرَةٍ أَوْ فِي السَّمَاوَاتِ أَوْ فِي
الْأَرْضِ يَأْتِ بِهَا اللَّهُ إِنَّ اللَّهَ لَطِيفٌ خَبِيرٌ ﴾ ১৬
দ্বিতীয় উপদেশ ঃ [‘হে বৎস!] (পূণ্য ও পাপ)
যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয় এবং তা যদি থাকে শিলাগর্ভে অথবা আকাশে কিংবা ভূগর্ভে, আল্লাহ ওটাও হাজির করবেন। আল্লাহ্ সূক্ষ্মদর্শী, খবর রাখেন সব বিষয়ের’। [সূরা লুক্বমান : ১৬]
النصيحة
الثالثة : قَالَ اللَّهُ تَعَالَي : ﴿ يَا بُنَيَّ أَقِمِ الصَّلَاةَ ﴾ ১৭
তৃতীয় উপদেশ ঃ (‘হে বৎস!) সালাত কায়েম
করবে’। [সূরা লুক্বমান : ১৭]
النصيحة
الرابعة : قَالَ اللَّهُ تَعَالَي : ﴿ وَأْمُرْ بِالْمَعْرُوفِ وَانْهَ عَنِ
الْمُنْكَرِ ﴾ ১৭
চতুর্থ উপদেশ ঃ (‘হে বৎস!( ভাল কাজের আদেশ
করবে ও মন্দ কাজ হতে নিষেধ করবে’। [সূরা লুক্বমান : ১৭]
النصيحة
الخامسة : قَالَ اللَّهُ تَعَالَي : ﴿ وَاصْبِرْ عَلَى مَا أَصَابَكَ إِنَّ ذَلِكَ
مِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ ﴾ ১৭
পঞ্চম উপদেশ ঃ )‘হে বৎস!( আর আপদে-বিপদে
(দুঃখ-কষ্ট, লাঞ্চনা-বঞ্চনা) ধৈর্যধারণ করবে, নিশ্চয়ই এটা দৃঢ় সংকল্পের কাজ’। [সূরা লুক্বমান : ১৭]
النصيحة
السادسة : قَالَ اللَّهُ تَعَالَي : ﴿ وَلَا تُصَعِّرْ خَدَّكَ لِلنَّاسِ ﴾ ১৮
ষষ্ঠ উপদেশ ঃ (‘হে বৎস!( অহঙ্কারবশে তুমি
মানুষ হতে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না’। [সূরা লুক্বমান : ১৮]
النصيحة
السابعة : قَالَ اللَّهُ تَعَالَي : ﴿ وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا إِنَّ
اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ ﴾ ১৮
সপ্তম উপদেশ ঃ )‘হে বৎস!( আর পৃথিবীতে
উদ্ধতভাবে বিচরণ করো না; কারণ আল্লাহ তা’আলা কোন উদ্ধত,
অহঙ্কারীকে
পছন্দ করেন না’। [সূরা লুক্বমান : ১৮]
النصيحة
الثامنة : قَالَ اللَّهُ تَعَالَي : ﴿ وَاقْصِدْ فِي مَشْيِكَ ﴾ ১৮
অষ্টম উপদেশ ঃ )‘হে বৎস!( তুমি পদচারণায়
মধ্যবর্তিতা অবলম্বন করবে’। [সূরা লুক্বমান : ১৯]
النصيحة
التاسعة : قَالَ اللَّهُ تَعَالَي : ﴿ وَاغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَ إِنَّ أَنْكَرَ الْأَصْوَاتِ
لَصَوْتُ الْحَمِيرِ ﴾ ১৮
নবম উপদেশ ঃ )‘হে বৎস!( আর তোমার কন্ঠস্বর
করবে নীচু; স্বরের মধ্যে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা
অপ্রীতিকর’ [সূরা লুক্বমান : ১৯] অর্থাৎ :
তোমার কúধ্বনি নিচু কর, সংযত ও নরম কর। কিননা সবচেয়ে ঘৃণা হচ্ছে গর্দভের কর্কশ আওয়াজ।
No comments:
Post a Comment