মুসলিম মনীষা পরিচিতি :
বাদশাহ ফয়সাল ; পরিবর্তন ও সংস্কারধর্মী
লড়াকু শাসক
এবং সহিহ আকিদার এক উজ্জল
নক্ষত্র
আব্দুস সালাম হুসাইন আলী
১. পরিচিতি ও জন্মঃ
বিশ্বব্যাপী কালজয়ী অন্যতম মুসলিম শাসক,
পরিবর্তনকামী
সংস্কারধর্মী লড়াকু শাসক ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। তিনি ১৯০৬ সালের ১৪ এপ্রিল ফয়সাল বিন
আবদুল আজিজ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ১১ বছর সৌদি শাসনের দায়িত্বপালন
করেছেন। বাদশাহ হিসেবে তিনি
দেশের ধর্মীয় কুসংস্কারমুক্তকরণ, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং আধুনিকীকরণ ও সংস্কারে
সফল হন। তার বৈদেশিক নীতির মূল
দিক ছিল প্যান ইসলামিজম (হল মুসলিমদের ঐক্যকেন্দ্রিক একটি রাজনৈতিক আন্দোলন), কমিউনিজম
বিরোধিতা, ফিলিস্তিনি দাবির সমর্থন। তিনি দেশের আমলাতন্ত্রকে সফলভাবে সংহত
করেন। সৌদিদের জনপ্রিয়
শাসক।
০২. ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ-এর কৃতত্ব ও সাফল্যঃ
২/১. ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৪ বছরের
কিশোর-বয়েসে বাবার রাজনৈতিক প্রতিনিধি হয়ে ইউরোপ সফর করেন আর এটাই রাজপরিবারের
কোনো সদস্যের প্রথম ইউরোপ সফর ছিল।
২/২. বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ যদিও রাজতন্ত্রের শাসক
ছিলেন, কিন্তু
মুসলিম বিশ্বের ঐক্যপ্রচেষ্টা, উন্নতি ও ইসরায়েল-বিরোধিতায় অবদানের জন্য
তিনি যেমন মুসলিম বিশ্বের কাছে প্রশংসিত ও শ্রদ্ধার পাত্র, তেম্নি
সেকেলে সৌদি রেওয়াজ ও নানামাত্রিক কুসংস্কার দূর করে উন্নত দেশ গড়ার প্রচেষ্টার
কারণে সৌদি সমাজেও অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন।
২/৩. মাত্র
১৬ বছর বয়েসে হাইল ও আসিরের দুটো যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ফয়সাল।
২/৪. বাদশাহ আবদুল আজিজ ছেলের দক্ষতা ও প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে
১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে হেজাজের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেন।
২/৫. ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠা করেন।
২/৬. ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ তাঁরই
প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
২/৭. হাজার বছর ধরে চলে আসা দাসপ্রথার বিলুপ্তিও
তাঁর মাধ্যমেই সংঘটিত হয়।
২/৮. ১৯৬৯ সালে ২৫টি মুসলিম রাষ্ট্র নিয়ে
‘ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা রক্ষার্তে’ ওআইসি (অর্গানাইজেশন
অব ইসলামিক কোঅপারেশন) প্রতিষ্ঠা করেন।
০৩. সহিহ
আকিদার আদর্শ ব্যক্তিত্ব ও জ্বলন্ত এক প্রতীক :
ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ ছিলেন সহিহ আকিদার
আদর্শ ব্যক্তিত্ব ও জ্বলন্ত এক প্রতীক। যার জীবনের অবিস্মরণীয় ও বিরল এক ঘটনা সেই
দিকেই ইঙ্গিত করে। যথা :
বাদশাহ
ফয়সাল (রাহিমাহুল্লাহ) ... পাকিস্তান সফরে যাওয়ার পর জুলফিকার আলি
ভূট্টো তাঁকে নিয়ে যান মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর কবরের কাছে । উঁচু
ও শ্বেতপাথরে বাঁধানো জাঁকজমকপূর্ন কবর । ভূট্টো নিজে
জিন্নাহর কবরকে স্যালুট করলেন ও বাদশাহকেও করতে বললেন । বাদশাহ
তার কারন জিজ্ঞেস করলে ভূট্টো বলেন, এটা পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা জিন্নাহর কবর । এখানে
সম্মান প্রদর্শন করতে হয় ।
বাদশাহ
ফয়সাল (রাহিমাহুল্লাহ) বললেন, "মিঃ ভূট্টো, কবরকে স্যালুট করা যদি ইসলামে জায়েজ থাকতো, তবে তোমার
কাছে আছে জিন্নাহর কবর, আর আমার কাছে আছে মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর কবর। যদি তা
জায়েজই থাকতো, তাহলে
আমি তা স্বর্ণ দিয়ে মুড়িয়ে দৈনিক পাঁচবার সিজদাহ করতাম, কিন্তু আফসোস, তা ইসলামে নিষিদ্ধ "। আল্লাহু
আকবার।
০৪. ইন্তেকালঃ
বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজকে তাঁর সৎ ভাইয়ের ছেলে চরম
বিশ্বাস ঘাতক ‘ফয়সাল বিন মুসাইদ’ ২৫ মার্চ ১৯৭৫ সালে
ছোড়া গুলিতে নিহত হন।
[তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া ; ইন্টারনেট ভিত্তিক উন্মুক্ত
বিশ্বকোষ।]
Excellent & Beautiful.
ReplyDeleteCasino Reviews 2021 - Top List of all casinos!
ReplyDeleteTop Casino Review — The overall gaming experience is bet365 우회 outstanding. There are 스포츠 토토 라이브 스코어 a lot 한게임 포커 apk of options including 게임 종류 slots, table games, and video poker. The casino 검증 사이트 먹튀 랭크 has a