বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
সীরাতুর রাসূল (সাঃ)। পর্ব : ছয়।
আল্লাহর ভালবাসা অর্জন করতে চাইলে
রাসূল (সাঃ)-এর অনুসরণ করতে হবেঃ
সংকলনে : আব্দুস সালাম হুসাইন আলী
০১. ভূমিকাঃ
মহান আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলার ভালবাসা, ঘনিষ্ঠতা, সন্তুষ্টি ও
নৈকট্য লাভে ধন্য হতে চাইলে রাসূল (সাঃ)-এর অনুসরণ, অনুকরণ এর কোন বিকল্প নেই।
প্রবাহমান প্রবন্ধে এ বিষয়ে সংক্ষিপ্তাকারে আলোকপাত করব ইনশা-আল্লাহ।
০২. আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা এরশাদ করেছেন :
﴿قُلْ
إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللهَ فَاتَّبِعُونِى يُحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ
لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ﴾
‘বলে দাও, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তবে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করবেন, বস্তুতঃ আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’। [সূরা আল-ইমরান : ৩১]।
০৩.
তাফসীর / ব্যাখ্যাঃ
৩/১. তাফসীর ইবন কাছীর :
রাসূল (সাঃ)-এর আনুগত্যের মাধ্যমে
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে :
এ পবিত্র আয়াতটি মীমাংসা করে দিয়েছে যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলাকে ভালোবাসার দাবী করে, কিন্তু তার ‘আমল ও বিশ্বাস যদি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নির্দেশের
অনুরূপ না হয় এবং সে তাঁর সুন্নাতের অনুসারী না হয়, তাহলে সে তার এ দাবীতে মিথ্যাবাদী। সহীহ হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন :
مَنْ عَمِلَ عَمَلا لَيْسَ عليه
أمْرُنَا فَهُوَ رَدُّ
‘যে ব্যক্তি এমন কোনো কাজ করে যার ওপর আমার নির্দেশ নেই তা অগ্রাহ্য।’ [হাদীসটি সহীহ। ফাতহুল বারী ৫/৩৫৫, সহীহুল বুখারী তা‘লীকান,
কিতাবুল ই‘তিসাম ১৩/৩২৯, সহীহ মুসলিম ৩/১৮/১৩৪৩-১৩৪৪, সুনান আবূ দাউদ-৪/২০/৪৬০৬]।
এ জন্যই এখানেও ইরশাহ হচ্ছে :
﴿قُلْ
إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللهَ فَاتَّبِعُونِى يُحْبِبْكُمُ اللهُ﴾
যদি তোমরা আল্লাহ তা‘আলার সাথে ভালোবাসার দাবীতে সত্যবাদী হও তাহলে
আমার সুন্নাতের ওপর ‘আমল করো। তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে তোমাদের চাহিদা অপেক্ষা বেশি দান
করবেন অর্থাৎ স্বয়ং তিনিই তোমাদেরকে চাইবেন।’ হাসান বাসরী (রহঃ) এবং সালাফগণের অন্যান্য বিজ্ঞজন মন্তব্য করেছেনঃ কিছু লোক এ
দাবী করতো যে, আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে ভালোবাসেন। এ জন্যই আল্লাহ সুবহানাহু নাযিল করেনঃ বলো, তোমরা যদি সত্যিই মহান আল্লাহকে ভালোবাস তাহলে আমাকে অনুসরণ করো, মহান আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন।
ইবনু আবি হাতিম বর্ণনা আয়িশা (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ
وَهَلِ
الدِّينُ إلا الْحُبُّ والْبُغْضُ في الله؟ قَالَ الله تَعَالَى: قُلْ إِنْ
كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ
দ্বীন হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাউকে ভালোবাসা ও শত্রুতা পোষণ করা। মহান আল্লাহ বলেছেন, বলে দাও, ‘যদি তোমরা মহান আল্লাহ্কে ভালোবাসো, তবে আমার অনুসরণ করো, মহান আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন। [হাদীসটি যঈফঃ মুসনাদ ইবনু
আবী হাতিম ২/২০৫]।
অতঃপর বলা হচ্ছেঃ
﴿وَ یَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ﴾
হাদীসের ওপর চলার কারণে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের সমস্ত পাপ
ক্ষমা করে দিবেন।’ এরপর
সর্বসাধারণের ওপর নির্দেশ হচ্ছে যে, তারা যেন সবাই
মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) -এর আনুগত্য স্বীকার করে। যারা এরপর ফিরে যাবে অর্থাৎ মহান আল্লাহ ও তাঁর
রাসূল (সাঃ)-এর আনুগত্য হতে সরে পড়বে তারা কাফির এবং আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদেরকে ভালোবাসেন না। যদিও তারা মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ)-কে ভালোবাসার দাবী করে, কিন্তু যে পর্যন্ত তারা আল্লাহ তা‘আলার সত্যবাদী, নিরক্ষর, রাসূলগণের (আঃ) সমাপ্তি আনয়নকারী এবং মানুষ ও
জিনের নাবী (সাঃ)-এর সুন্নাতের অনুসরণ ও অনুকরণ না করবে সেই পর্যন্ত তারা তাদের এ
দাবীতে মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হবে। মুহাম্মাদ (সাঃ) এমনই রাসূল যে, আজ যদি অন্যান্য
নাবীগণ (আঃ) এমনকি স্থির প্রতিজ্ঞ রাসূলগণও জীবিত থাকতেন তাহলে তাঁদেরও এ রাসূল
(সাঃ)-কে ও তাঁর শারী‘আতকে মান্য করা ছাড়া উপায় থাকতো না।
৩/২. তাফসীর আহসানুল বায়ান :
ইয়াহুদী এবং খ্রিষ্টান উভয় জাতিরই দাবী ছিল, আমরা আল্লাহ তাআলাকে ভালবাসি এবং মহান আল্লাহ আমাদেরকে ভালবাসেন। বিশেষ করে খ্রিষ্টানরা ঈসা এবং তাঁর মা
মারয়্যাম (আঃ)-এর প্রতি ভক্তি ও ভালবাসায় এত বাড়াবাড়ি করল যে, তাঁদেরকে উপাস্যের আসনে বসিয়ে দিল। আর এটাও তারা এই মনে করে করত যে, এর দ্বারা তারা
আল্লাহর নৈকট্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ও ভালবাসা লাভে ধন্য হতে পারবে। মহান আল্লাহ বললেন, কেবল মৌখিক দাবী এবং মনগড়া তরীকায় আল্লাহর ভালবাসা এবং তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করা
যায় না। এ সব লাভ করার পথ তো
একটাই। আর তা হল, শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর উপর ঈমান আনা এবং তাঁর অনুসরণ করা। এই আয়াতে সমস্ত ভালবাসার দাবীদারদের জন্য একটি
পথই নির্দিষ্ট করা হয়েছে। অতএব আল্লাহর ভালবাসার অনুসন্ধানী যদি মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর অনুসরণের মাধ্যমে তা
অনুসন্ধান করে, তাহলে অবশ্যই সে সফল হবে এবং স্বীয় দাবীতে সত্য
প্রমাণিত হবে। অন্যথা সে মিথ্যুক হবে
এবং উদ্দেশ্য হাসিলেও ব্যর্থ হবে। নবী করীম (সাঃ)-এর উক্তিও হল, "যে ব্যক্তি এমন কোন কাজ
করল, যে কাজের নির্দেশ আমি দিইনি, তার সে কাজ প্রত্যাখ্যাত।" [সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম]। অর্থাৎ, রসূল (সাঃ)-এর প্রদর্শিত তরীকা বহির্ভূত আমল
প্রত্যাখ্যাত হবে; তথা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।
আর রসূল (সাঃ)-এর অনুসরণ করার কারণে কেবল তোমাদের পাপই ক্ষমা করা হবে না, বরং তোমরা আল্লাহর ভালবাসার পাত্র হয়ে যাবে। আর কোন মানুষের আল্লাহর নিকট প্রিয় হয়ে যাওয়া যে অতীব উচ্চ মর্যাদা তাতে কোন সন্দেহ নেই।
৩/৩. তাফসীর যাকারিয়া :
ভালবাসা একটি গোপন বিষয়। কারো প্রতি কারো ভালবাসা আছে কি না, অল্প আছে কি বেশী
আছে, তা জানার একমাত্র মাপকাঠি হল, অবস্থা ও পারস্পরিক
ব্যবহার দেখে অনুমান করা অথবা ভালবাসার চিহ্ন ও লক্ষণাদি দেখে জেনে নেয়া। যারা আল্লাহ্কে ভালবাসার দাবীদার এবং আল্লাহ্র
ভালবাসা পাওয়ার আকাঙ্খী, আলোচ্য আয়াতসমূহে আল্লাহ্ তা'আলা স্বীয় ভালবাসার মাপকাঠি তাদের বলে দিয়েছেন। অর্থাৎ জগতে যদি কেউ আল্লাহ্র ভালবাসার দাবী
করে, তবে মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে অনুসরণের কষ্টিপাথরে তা যাচাই করে দেখা অত্যাবশ্যকীয়। এতে আসল ও মেকী ধরা পড়বে। যার দাবী যতটুকু সত্য হবে, সে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর অনুসরণে ততটুকু যত্নবান হবে এবং তার শিক্ষার আলোকে
পথের মশালরূপে গ্রহণ করবে। পক্ষান্তরে যার দাবী দুর্বল হবে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর
অনুসরণে তার দুর্বলতা সেই পরিমানে পরিলক্ষিত হবে। ভালবাসা অনুসারে মানুষের হাশরও হবে। হাদীসে এসেছে, আনাস (রাযি.) বলেন, এক লোক রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহ্র রাসূল! কিয়ামত কখন হবে? রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
বললেন, তুমি এর জন্য কি তৈরী করেছ? লোকটি বলল, আমি এর জন্য তেমন সালাত, সাওম ও সাদকা করতে
পারিনি,
তবে আমি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসি। তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, “তুমি তার সাথেই থাকবে যাকে তুমি ভালবাস”। [সহীহ বুখারী ৬১৭১]।
৩/৪. তাফসীর ফাতহুল
মাজীদ :
যারা আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে প্রকৃতপক্ষে
ভালবাসে এ আয়াত তাদের জন্য মাপকাঠি। রাসূল (সাঃ)-কে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ হল একচ্ছত্রভাবে তাঁর অনুসরণ করা।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে অনুসরণ করা আল্লাহ তা‘আলাকে অনুসরণ করার শামিল। আর রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে ভালবাসা হল আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবাসার নামান্তর। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿مَنْ يُّطِعِ الرَّسُوْلَ فَقَدْ أَطَاعَ اللّٰهَ﴾
“কেউ রাসূলের আনুগত্য করলে সে তো আল্লাহরই
আনুগত্য করল।” [সূরা নিসা : ৮০]।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন : আমার উম্মাতের
প্রত্যেকে জান্নাতে যাবে তবে যারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তারা ব্যতীত। সাহাবীগণ বললেন : হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)!
অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে কারা? রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন : যে ব্যক্তি আমার
আনুগত্য করবে সে জান্নাতে যাবে আর যে আমার অবাধ্য হবে সে হল অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী। [সহীহ বুখারী ৭২৮০]।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿أَطِيْعُوا اللّٰهَ وَأَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ وَلَا
تُبْطِلُوْآ أَعْمَالَكُمْ﴾
“আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য স্বীকার কর। আর নিজেদের আমল নষ্ট কর না।” [সূরা মুহাম্মাদ : ৩৩]।
এরূপ অনেক আয়াতে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর অনুসরণের কথা বলা হয়েছে। যারা রাসূলকে ভালবাসার নামে আশেকে রাসূল, ঈদে মিলাদুন্নবী, কিয়াম, বর্ণাঢ্য র্যালী, শোভাযাত্রা, নাবী দিবস ইত্যাদি আচার-অনুষ্ঠান করে থাকেন তাদের জানা উচিত, এসব মনগড়া কার্যক্রমে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর প্রতি ভালবাসা দেখানো তো দূরের কথা বরং এ জাতীয় কাজ রাসূলের সাথে বিরোধিতার শামিল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর প্রতি ভালবাসা কেবল তাঁর অনুসরণে, অনুকরণে। দল, মত, তরিকা, মাযহাব বর্জন করে তাঁর সহীহ হাদীসের আলোকে আমলে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নামে বহু জাল (বানোয়াট) হাদীস সমাজে ছড়িয়ে রয়েছে। সে সব জাল-মিথ্যা বানোয়াট হাদীসের আশ্রয় নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে অনুসরণের বৃথা চেষ্টা করলে জান্নাত তো দূরের কথা, জাহান্নামে স্থান পেতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন :
مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত আমার নামে মিথ্যা কথা বলবে
সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নেয়। [সহীহ বুখারী ১২১৯]।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে যেভাবে ভালবাসা দরকার সেভাবে ভালবাসার তৌফিক দান করুন। আমীন!
আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলার বাণী :
﴿اَطِيْعُوا اللهَ وَالرَّسُوْلَ﴾
“তোমরা আল্লাহ এবং রাসূলের আনুগত্য কর” এ আয়াতে আল্লাহ
তা‘আলার আনুগত্য করার সাথে সাথে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর আনুগত্য করার প্রতি পুনরায়
গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আর তাঁর আনুগত্য হলো তাঁর সুন্নাতের অনুসরণের মাঝে। এতে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর অনুসরণের মাঝে মুক্তি নিহিত রয়েছে। যারা দল, মত ও তরিকার
দোহাই দিয়ে প্রকৃত অনুরসণ থেকে বিমুখ হবে তারা এমন কুফরীর পর্যায়ে চলে যাবে, যে কুফরীর কারণে আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদের ভালবাসেন
না। তাই দল, তরিকা ও মাযহাবের দোহাই দিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সহীহ সুন্নাতকে বর্জন করা
কত বড় অপরাধ তা অনুধাবন করা উচিত।
০৪. আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়ঃ
ক. আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবাসতে হলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর অনুসরণ আবশ্যক।
খ. রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে তাঁর সহীহ সুন্নাহর অনুসরণ।
গ. যারা নাবী (সাঃ)-এর নামে মনগড়া বিভিন্ন ইবাদত তৈরি করে তারা তাঁর আনুগত্যশীল নয়।
ঘ. আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবেসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে অনুসরণ করলে আল্লাহ তা‘আলা সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবেন।
ঙ. আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর অনুসরণ করা ফরয।
ক. আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবাসতে হলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর অনুসরণ আবশ্যক।
খ. রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে তাঁর সহীহ সুন্নাহর অনুসরণ।
গ. যারা নাবী (সাঃ)-এর নামে মনগড়া বিভিন্ন ইবাদত তৈরি করে তারা তাঁর আনুগত্যশীল নয়।
ঘ. আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবেসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে অনুসরণ করলে আল্লাহ তা‘আলা সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবেন।
ঙ. আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর অনুসরণ করা ফরয।
Excellent & Beautiful.
ReplyDelete