বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
মাযহাব মানা ও অনুসরণ করার মানদন্ড
আব্দুস সালাম হুসাইন আলী
ইমাম ‘আজম আবূ
হানিফা (রাহিমাহুল্লাহ) তার মাযহাব অনুসরণে চারটি মূলনীতি বর্ণনা করেছেন। যথা :
১. ইমাম ‘আজম
আবূ হানিফা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন :
إِذَا
صَحَّ الْحَدِيْثُ فَهُوَ مَذْهَبِيْ হাদীস সহীহ হলে সেটাই আমার মাযহাব। [রাসমুল মুফতী ১/৪, হাশিয়া ইবনু ‘আবিদীন ১/৬২ ও ৬৩]।
২. ইমাম ‘আজম
আবূ হানিফা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন :
لاَ
يَحِلُّ لِأَحَدٍ أَنْ يَأْخُذَ بِقَوْلِنَا مَالَمْ يَعْلَمْ مِنْ أَيْنَ
أَخَذْنَاهُ আমরা কোথা থেকে মাসআলা গ্রহণ করেছি, তা জানার আগ পর্যন্ত আমাদের বক্তব্য গ্রহণ করা কারোর জন্যে জায়েজ নেই। [গ নং-এ দেখুন]।
৩. অন্য এক বর্ণনায় ইমাম ‘আজম আবূ হানিফা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন :
حَرَامٌ
عَلَى مَنْ لَمْ يَعْرِفَ دَلِيْلِيْ أَنْ يُفْتىٰ بِكَلَامِيْ যে ব্যক্তি আমার দলীল-প্রমাণ জানে না, তার জন্য আমার বক্তব্য দিয়ে ফাতুওয়া দেওয়া হারাম। অন্য এক বর্ণনায় তাঁর আরো একটি কথা যোগ করে বলা হয়েছে, আমরা মানুষ। আজ যে কথা বলি কাল সে কথা প্রত্যাহার করি।
[ইবনে আব্দিল বার, ‘আল-ইনতেক্বাউ ফি ফাযায়িলিছ ছালাছাতুল আইম্মাতুল ফুক্বাহাউ’ পৃঃ ১৪৫, ইবনিল কাইয়্যিম, ই‘লামুল মুওয়াক্বিঈন ২/৩০৯, ইবনে ‘আবিদীন, বাহরুর রায়িক্ব-এর (হাশিয়া)
টীকা ৬/২৯৩, রাসমুল মুফতী পৃঃ ২৯
ও ৩২, আশ-শা‘রানী, আল-মীযান ১/৫৫]।
৪. অন্য এক বর্ণনায় ইমাম ‘আজম আবূ হানিফা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন :
إِذَا
كَانَ خِلَافَ الُقْرآَنَ وَالسُّنَّةَ أَتْرُكُوْا
قَوْلِيْ بِخَبَرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ আমার কোনো কথা যদি কুরআন ও হাদীসের বিপরীত হয়, তাহলে আমার বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান কর। [আল-ফালানী, আল-ইক্বায পৃঃ ৫০, আশ-শা‘রানী, আল-মীযান ১/২৬]।
৫. উপসংহারঃ
সুতরাং মিথ্যা, জাল, বানোয়াট ও দুর্বল হাদিসের উপর আমল করা ইমাম আবু হানিফা (রঃ)-এর মাযহাবের অনুসরণ হতে পারে না। মহান আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা আমাদেরকে প্রকৃত মুসলিম
হওয়ার তাওফীক্ব দান করুন, আমীন।
No comments:
Post a Comment