বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহীম
শবে বরাত ; একটি পর্যালোচনা (পাঠ ০১)
প্রচলিত শবে বরাত কেন্দ্রিক ইবাদত; ইসলাম অনুমোদিত না উপেক্ষিত?
মুফতি আব্দুস সালাম হুসাইন আলী
সমস্ত স্তুতি ও ভুয়ূশী প্রসংশা সেই স্রষ্টার জন্য যিনি আমাদেরকে লাবন্যময় ভাষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, সত্য ও ন্যায় শিক্ষা দিয়েছেন এবং তাঁর সর্বকালের, সর্বযুগের, সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) কে সত্য ও সঠিক জীবন বিধানসহ প্রেরণ করেছেন। যাতে তিনি সকল মানবরচিত ত্রুটিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার উপর খাটি জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেন। যদিও আল্লাহদ্রোহী সম্প্রদায় তা অপছন্দ ও ঘৃণা করে। দুরূদ, সালাত, সালাম ও শান্তি বর্ষিত হউক তাঁর শ্রেষ্ঠ রাসূল, সাহাবা, তাবেয়ি, তাবে-তাবেয়ি এবং সকল অনুসারীগণের উপর।
এহেন ক্রান্তিলগ্নে অত্যন্ত দুঃখ ভরাক্রান্ত, ভগ্ন হৃদয়ে বলতে বাধ্য যে, সহজ-সরল, পরনির্ভরশীল, অশিক্ষিত মানবসম্প্রদায় ইসলামী শরী’য়ত ও সংবিধান এবং ধর্মীয় অনুশাসন পরিপূর্ণভাবে প্রতিপালন করা ব্যতীত নবী-রাসূল (সাঃ) ও সাহাবাদের অনুসরণ ব্যতিরেকে কষ্ট-সহ্যের পরিবর্তে সংক্ষেপে, সহজে, অল্প আমল বা ইবাদতের মাধ্যমে সল্প সময়ে দ্রুত গতিতে জান্নাতে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু নতুন পদ্ধতি আবিস্কার করেছেন। তাঁরা কিছু উৎসব ও অনুষ্ঠান পালন ও রাত্রি যাপন করে ইবাদত করার ভিতর স্বর্গীয় সুখ ও চির শান্তি পাওয়ায় বদ্ধপরিকর। কথিত উক্ত কতিপয় উৎসবের মধ্য হতে ‘শবে বরাত’ উল্লেখযোগ্য। এখানে সংক্ষিপ্ত পরিসরে ‘শবে বরাত’ -এর পর্যালোচনা বিজ্ঞ-সচেতন মহলের দৃষ্টিগোচরের জন্য উপস্থাপন করলাম।
২. শবে বরাতের শাব্দিক বিশ্লেষণঃ
شب (শব)
অর্থ : রাত, রজনী। আর براءة (বরাত) অর্থ : বিচ্ছেদ, বিচ্ছিন্ন বা
মুক্তি। তাই উভয়টির সমন্বয়ে
অর্থ -হল : ‘মুক্তির রজনী’ বা বিচ্ছেদের রজনী’। প্রকাশ থাকে
যে, شب ফার্সী শব্দ আর براءة (বরাত) আরবি শব্দ। অর্ধেক ফার্সী আর অর্ধেক
আরবি শব্দের
সমন্বয়ে ইসলামী
কোন পরিভাষা
বা ইসলামী
জীবন-বিধান হতে
পারে না। বিধায় এ
শব্দ সম্পর্কে
কুরআন ও হাদীসে স্পষ্ট
কোন তথ্য
পাওয়া যায়
না। তবে অসংখ্য দুর্বল
এবং শুধূমাত্র
একটি সহীহ
হাদিসে শবে
বরাতের রাত্রিকে لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانْ (লাইলাতুন নিসফি মিন
শা’বান) বা শা’বানের মধ্য রজনী
বলা হয়েছে।
৩. শবে বরাত কেন্দ্রিক ইবাদত প্রচলনের ইতিকথাঃ
সম্মানিত বিজ্ঞ ও সচেতন মহল! উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা শবে বরাতের অর্থ সম্পর্কে কিঞ্চিত হলেও অবগত হতে পারলাম। এখন প্রচলিত শবে বরাত কেন্দ্রিক ইবাদত প্রচলনের ইতহাস সম্পর্কে জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। ৪০ হিজরীর পূর্বে সকল অগ্নিপূজকদের রাজ্যসমূহ মুসলমানদের দখলে চলে আসে। এরই মধ্যে برمكة (বারমাকা, Barmaka) নামক এক
শ্রেণির অগ্নিপূজক
প্রকাশ্যে ইসলাম
ধর্ম গ্রহন করে। তারা এ রাতকে
বিশেষভাবে উদযাপনের
নতুন পন্থা
ও প্রথা
চালু করে
এবং এ রাতে মসজিদে আলোকসজ্জার
ব্যবস্থা করে, মসজিদের ভিতর
ও বাহিরে
ঝাড় বাতি
দ্বারা সজ্জিত
করে, ঝাঁক-জমক পোষাক পরিধান
করে শবে
বরাত পালনের
স্বউদ্ভাবিত, নব আবিস্কৃত প্রথা ও পন্থা শুরু করে
এবং তাঁরা صَلَاةُ الرَّغَائِبِ (সালাতুর রাগায়েব) নামে ১০০
রাকা’আতের নফল
সালাত তথাকথিত
শবে বরাত
চালু করে। যার সূত্র ধরে ৪৪৮
হিজরিতে বাইতুল
মাক্বদাসে আনুষ্ঠানিকভাবে
শবে বরাত
পালনের এ প্রথা চালু হয়। এভাবে বিশ্বের বিশেষত ভারত
উপমহাদেশের মসজিদ
সমূহে এর
ব্যাপক প্রচলন
শুরু হয়। অথচ
রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছে
: مَنْ أَحْدَثَ فِىْ
أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ অর্থাৎ : যে ব্যক্তি দ্বীনের
মধ্যে এমন
নতুন কিছু
সংযোজন করল
যা এই
দ্বীনের মধ্যে
নেই তা
প্রত্যাখাত বর্জনীয়
ও বাতিল
বলে গন্য
হবে। [সহীহ বুখারী হা/নং ২৬৯৭, সহীহ মুসলিম হা/নং
১৭১৮]।
৪. শবে বরাতের নামে যা করা হয়ঃ
বরই পরিতাপের বিষয় এই যে, আমাদের দেশে শবে বরাতে যা করা হয় (যেমন : সন্ধ্যা হলে গোসল করা, নতুন পোষাক পরিধান করা, মসজিদকে আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা, পটকা ফুটানো, আতশবাজি করা, বাড়ী-ঘর ও কবরস্থান এবং মসজিদে মোমবাতি, আগরবাতি জ্বালানো, সম্মিলিতভাবে কবর যিয়ারত করা, হালুয়া-রুটি খাওয়া ও বিতরণ করা, সারা রাত জেগে নির্ধিষ্ট সংখ্যক সূরা দিয়ে নির্ধিষ্ট সংখ্যক রাকা’আত সালাত বা ১০০ রাকা’আত নফল সালাত আদায় করা ও মীলাদ পড়া ইত্যাদি।) এ সবই নব আবিস্কৃত, নবউদ্ভাবিত, মনগড়া পন্থা-প্রথা, ভ্রান্ত রসম-রেওয়াজ বৈ কিছুই নয়। কুরআন-হাদীস দ্বারা এ ধরণের কোন আমল বা ইবাদত সমর্থিত ও অনুমোদিত নয় বিধায় এসব আমল বা ইবাদত একক ও সম্মিলিতভাবে পালন করা থেকে প্রত্যেক মুসলমানের বিরত থাকা একান্ত আবশ্যকীয়, নৈতিক ও ঈমানী দায়িত্ব, কর্তব্য।
৫. ইবাদত করার জন্য ‘কোন দিন বা রাতই তো নিষেধ নেয়?
সম্মানিত বিজ্ঞ ও সচেতন মহল! আল্লাহ তা’আলাকে পাওয়ার জন্য কান্নকাটি করা, মসজিদে রাত যাপন করা, কুরআন তিলাওয়াত করা, যিকির-আযকার করা, দান-খয়রাত ও সদকা করা, পরম ভক্তি ও শ্রদ্ধাসহ মহান প্রভূকে আহ্বান করা, রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগী করা ‘কোন রাত বা দিনেই তা নিষেধ নেই।’ বরঞ্চ ইহা আরো মহা কল্যাণের অধ্যায় এবং সাওয়াবের কাজ। এতে কারো দ্বিমত নেই। তবে এটা কি ইসলামী শরী’য়ত, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) কর্তৃক অনুমোদিত, স্বীকৃত না অস্বীকৃত, উপেক্ষিত? তা জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। যেমন কথিত শবে বরাত তথা মুক্তির রজনী বনাম বিচ্ছেদের রজনী কেন্দ্রিক ইবাদত-বন্দেগী। আমাদেরকে আরো জানতে হবে যে, মহান আল্লাহ তা’আলা শবে ক্বদরের ন্যায় এ রাতে বিশেষ কোন ইবাদত-বন্দেগী করার নির্দেশ দিয়েছেন কি-না? প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এ রাতে বিশেষ কোন ইবাদত-বন্দেগী করার নির্দেশ দিয়েছেন কি-না? রাসূলের (সাঃ) সুদীর্ঘ নবুওয়তের ২৬ বছরের কোন সময়ে সকল সাহাবাদের নিয়ে এ রাতে মক্কার মসজিদে হারাম বা মদীনার মসজিদে নাবাবীতে সমবেত হয়ে শবে বরাতের ইবাদত-বন্দেগীতে নেতৃত্ব দিয়েছে কি-না? কিংবা তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর আদর্শ সৈনিক ও চার খলীফাগণ (রাষ্ট্রপতি) তথা ‘আবু বকর, ওমর, উসমান ও আলী (রাঃ) গণ প্রমুখদের শাসনামলে বা এর পরে অন্যান্য সাহাবী, তাবেয়ি, তাবে-তাবেয়িগণদের যুগে আমাদের মত শবে বরাত উদযাপিত হত কি-না? তেমনিভাবে তাঁরা আগামী এক বছরের ভাগ্য লিখাবার জন্য সারা রাত জাগ্রত থেকে আমাদের মত ইবাদত-বন্দেগী করেছিলেন কি-না?
না, কখনই না। আল্লাহ তা’আলা এমন কোন নির্দেশ দেননি, রাসূলও (সাঃ) এমন কোন নির্দেশ দেননি, সাহাবাগণ (রাঃ)-এর যুগে বখনই এমন শবে বরাত কেন্দ্রিক বিদ’আত ছিলনা। আমরা নিজেরাই এ রাতের ফজিলত, মাহাত্ব ও তাৎপর্যের ব্যাপারে মিথ্যা বানোয়াট প্রচলন করে নিয়েছি। আমরা এই সুন্নাহ বিরোধী কাজকে সাওয়াবের মনে করেছি এবং একে পরিপূর্ণ রীতি বা সুন্নাহয় পরিণত করে ফেলেছি। এই রীতিটি সাহাবাদের স্বর্ণ যুগের কেউ পালন করেননি। অনুরূপভাবে তাবেয়িগণের যুগেও কেউ পালন করেননি। তবে তাবে-তাবেয়িগণের যুগে কেউ কেউ এ রাত পালন শুরু করেন। তখন অন্যান্য তাবে-তাবেয়িগণ এই কাজের প্রতিবাদ করে বলেন যে, যেহেতু কোন সাহাবী, প্রশিদ্ধ ইমাম, প্রশিদ্ধ তাবেয়ি ও ফক্বীহগণ এ রাত পালন করেননি সেহেতু, তা পালন করা আমাদের জন্য উচিত হবে না। এই রাত পালনের প্রতিবাদে মদীনার প্রখ্যাত তাবে-তাবেয়ি আব্দুর রহমান বিন যাঈদ বিন আসলাম রা. (১৮২ হিঃ) বলেন : আমাদের কোন উস্তাদ, আমাদের মদীনার কোন শাইখ, ফক্বীহ, ইমাম, আলেমকে দেখিনি যে, শা’বান মাসের মধ্য রজনীতে কোন রকম মনোযোগ দিয়েছেন বা ভ্রুক্ষেপ করেছেন। এ বিষয়ে সিরিয়ার তাবে-তাবেয়ি প্রখ্যাত মুহাদ্দিস মাকহুল রা. (১১৩ হিঃ) যে হাদিস বর্ণনা করেন সে হাদীস তাঁদের কারো মুখে কখনো শুনিনি। তাঁরা সর্বদা ফজিলতের বিষয় পালনে রাসূল (সাঃ) ও তাঁর সাহাবা (রাঃ) গণের কর্মের উপর নির্ভর করতেন। ফজিলত প্রমাণিত হলেও তা পালনের পদ্ধতি সাহাবাগণের অনুসরণ করতেন। তাঁদের যুগের অবস্থা আর আমাদের যুগের অবস্থা একটু মিলিয়ে দেখা দরকার বা পর্যালোচনা করা দরকার।
সম্মানিত সূধীমন্ডলী! এ রাত্র উদযাপন বা ইবাদত-বন্দেগী যদি আল্লাহ তা’আলার নির্দেশ ও রাসূলের (সাঃ) নির্দেশ ও সাহাবাগণের আমল অনুযায়ী হয় তাহলে নিশ্চয়ই তা সাওয়াবের কাজ। আর যদি তা আমাদের মনগড়া প্রথা ও রসম-রেওয়াজ, নবউদ্ভাবিত, নবআবিস্কৃত, নিজেদের স্বঘোষিত মুক্তির রজনী বা পূর্বপুরুষদেরকে এ ধরণের আমল করতে দেখেছি এমন হয় তাহলে এ ধরণের শবে বরাত পালন করা দ্বারা সাওয়াবের আশা করা যাবে না। বরং তা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ)-এর বিরোধীতা এবং শরী’য়ত প্রণেতার চেয়ে বেশী বুঝার শামিল বলে গণ্য হবে। এ ব্যাপারে রাসূল বলেছেন : كُلَّ
مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٌ ضَلَالَةٌ وَكُلَّ ضَلَالَةٍ فِى النَّارِ ‘দ্বীনের মধ্যে
আবিস্কৃত প্রত্যেক
নতুন কাজই
বিদ’আত, আর প্রত্যেক বিদ’আতই পথভ্রষ্ঠ
এবং প্রত্যেক
পথভ্রষ্ঠতাই জাহান্নামে
নিক্ষিপ্ত হবে’। [সহীহ মুসলিম হা/নং৮৬৭, সুনানা নাসাঈ হা/নং ১৫৭৮, আহমাদ হা/নং ১৪৯৮৪]। অতএব আমাদের জীবনের
প্রতিটি কাজ-কর্ম কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী
এবং রাসূল (সাঃ) ও সাহাবাগণের
পথ-মত ও কর্ম অনুযায়ী হতে
হবে। যেমন রাসূল (সাঃ) বলেছেন : عَلَيْكُمْ بِسُنَّتِيْ وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِيْنَ
الْمَهْدِيِّيْنَ তোমার আমার সুন্নাহ (জীবনাদর্শ, পথ-মত) এবং হিদায়াত প্রাপ্ত
খুলাফায়ে রাশিদীনগণের
সুন্নাহ (জীবনাদর্শ, পথ-মত) গ্রহন কর। [সুনান আবু দাঊদ হা/নং ৪৬০৭, সুনান তিরমিযী
হা/নং ২৬৭৬, সুনান ইবনু মাযাহ হা/নং ৪২, সুনান আহমাদ হা/নং ১৭১৪৫]।
৬. যে কোন আমল বা কর্ম আল্লাহর নিকট কবূল বা গ্রহণযোগ্যতার জন্য ৩টি শর্ত রয়েছেঃ
ক. اَلْإِيْمَانُ (ঈমান) বিশ্বাস থাকতে
হবে। মহান আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন
: ﴿إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آَمَنُوا
بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوا وَجَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ
وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُونَ﴾ ‘মু’মিন তারাই
যারা আল্লাহ্
ও তাঁর
রাসূলের (সাঃ) উপর ঈমান
আনে, অতঃপর কোনরূপ সন্দেহ করে
না, আর তাদের মাল দিয়ে
ও জান
দিয়ে আল্লাহর
পথে জিহাদ
করে; তারাই সত্যবাদী’। [সূরা হুজরাত : ১৫]।
খ. اَلْإِخْلَاصُ (ইখলাছ) নিরঙ্কুষ, সত্যনিষ্ঠ মনোভাব শুধুমাত্র আল্লাহর
সন্তুষ্টির জন্য
আমল করতে
হবে। আল্লাহ্ তা’য়ালা এরশাদ করেন
: ﴿وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ
مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ﴾ ‘তাদেরকে নির্ভেজালচিত্তে শুধু আল্লাহর ‘ঈবাদত করার নির্দেশ
দেয়া হয়েছে’। [সূরা বাইয়্যিনাহ : ০৫]।
গ. مُتَابِعَةُ الرَّسُوْلِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ রাসূল
(সাঃ)-এর আদর্শের
পূর্ণাঙ্গ অনুসরণ
করতে হবে। আল্লাহ্ তা’য়ালা ইরশাদ করেন : ﴿مَنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ
اللَّهَ وَمَنْ تَوَلَّى فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا﴾ ‘যে লোক
রসূলের হুকুম
মান্য করবে
সে আল্লাহরই
হুকুম মান্য
করল। আর যে লোক
বিমুখতা অবলম্বন
করল, আমি আপনাকে
(হে মুহাম্মাদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত
করে পাঠাইনি’। [সূরা নিসা : ৮০]। অতএব দ্বীনের যে
কোন আমলের
ক্ষেত্রে এই
তিনটি শর্তের
প্রতি বিশেষভাবে
গুরুত্বারূপ করতে
হবে।
[চলবে ইনশা-আল্লাহ]।
No comments:
Post a Comment